রাজশাহীতে মাদকসেবীদের ছাড়াতে গিয়ে কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা জেলে

রাজশাহীতে মাদকসেবীদের ছাড়াতে গিয়ে কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা জেলে

রাজশাহী নগর পুলিশের অভিযানে আটক-৩০
রাজশাহী নগর পুলিশের অভিযানে আটক-৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গাঁজা ও ফেনসিডিল সেবনের সময় পাঁচ মাদকসেবীকে আটক করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা ইউনিটের একটি দল।

গতকাল সোমবার বিকেলে তাদের আটক করা হয়।

এরপর তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা তাদের ছাড়াতে যান। তারা মাদকসেবিদের ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারকে চাপ দিচ্ছিলেন। এই সুযোগে পাঁচজন মাদকসেবী পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকা হৈচৈ পড়ে যায়। আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুইজনকে আটকে রাখেন। পরে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া পাঁচজনকে আটক করে আনেন। এরপর ইউএনও’র ভ্রাম্যমাণ আদালত পৌর কাউন্সিলর ও যুবলী নেতাসহ সাতজনকেই দ- দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। দ-প্রাপ্ত কাউন্সিলরের নাম শহীদুল ইসলাম (৪৫)। তিনি গোদাগাড়ী পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পৌর এলাকার রামনগর মহল্লায় তার বাড়ি। আর যুবলীগ নেতার নাম গোলাম কাউসার মাসুম (৩৮)। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তাদের দুজনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে।

কারাদ-প্রাপ্ত অন্য পাঁচ মাদকসেবী হলেন- রামনগর গ্রামের হুমায়ুন কবীরের ছেলে মো. সাদ্দাম (২০), মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. সাব্বির (২০), আলম আলীর ছেলে মো. সজিব (২০), চাঁইপাড়া গ্রামের দুরুল হুদার ছেলে মো. রিফাত (২১) এবং বুজরুক রাজারামপুর মহল্লার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী (২০)। তাদের প্রত্যেককে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানে আলম এ আদেশ দেন।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইউএনও জানে আলম বলেন, পাঁচজনকে মাদক সেবনের সময় আটক করা হয়েছিল। কিন্তু কাউন্সিলর শহিদুল ও যুবলীগ নেতা মাসুম তাদের ছাড়াতে এসে পালিয়ে যেতে বলেন। এ কারণে তারা পালিয়ে যায়। তাই সবাইকেই কারাদ- দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, পাঁচ আসামি পালিয়ে গিয়েছিল। আমরা খবর পেয়ে আসামিদের অভিযান চালিয়ে আটক করেছি। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা হলে রাতেই সাতজনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply